চট্টগ্রাম দেশে ভ্রমণ ভ্রমণ কাহিনী ভ্রমণ সংবাদ

নাফের বুকে জালিয়ার দ্বীপে ট্যুরিজম পার্ক

নাফ নদীর স্বচ্ছ নীল পানি আর আকাশে শুভ্র মেঘের আনাগোনা হাতছানি দিয়ে ডাকে। নদীর বুকে সবুজে ঘেরা এক মনোরম দ্বীপ। কাছেই আমাদের নেটং পাহাড় আর ওই দূরে দেখা যায় গাঢ় সবুজে ঘেরা মিয়ানমারের উঁচু পাহাড়।
ইচ্ছে হলে ঝুলন্ত সেতু দিয়ে হেঁটে অথবা ক্যাবল কারে চড়ে চলে যেতে পারবেন দ্বীপে। ভাসমান রেঁস্তোরায় বসে ওই দূর পাহাড়ের রূপ দেখতে দেখতে উপভোগ করতে পারবেন। সাগর তলে মাছের ঘোরাঘুরি দেখবেন ওসেনারিয়ামে। সুইমিং পুলে সাঁতার কেটে আর পার্কে খেলে সময় কাটবে শিশুদের।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ট্যুরিজম পার্কের মতই থাকবে ফান লেক, একুয়া লেক আর মাছ ধরার জেটি। টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের এই জালিয়ার দ্বীপে গড়ে উঠছে দেশের প্রথম ট্যুরিজম পার্ক।
প্রাকৃতিক এই দ্বীপটি ডিম্বাকৃতির। ২৭১ একরের এই দ্বীপে পাখির কলতান লেগেই থাকে। দ্বীপের আশেপাশে দেখতে পাবেন পানিতে অর্ধেক ডোবা গাছপালা। জার্মান পরামর্শক সংস্থা ইউনি কনসাল্ট সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ শেষ করেছে।
বিদেশি পর্যটকদের কাছে একে আকর্ষণীয় করতে থাকবে প্যারা সেইলিং, স্কুবা ডাইভিং আর সি ক্রুসিং। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) দ্বীপের ভূমি উন্নয়ন কাজ শুরু করেছে। প্রায় ২৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে দ্বীপটিকে উপযোগী করে তোলা হচ্ছে। পার্ক নির্মাণে বিনিয়োগে আগ্রহী বিভিন্ন দেশের নয়টি প্রতিষ্ঠান।
বাংলাদেশ অর্থণৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী বলছেন, পর্যটকদের জন্য যে সুযোগ সুবিধা দেয়া দরকার এটা হবে তার প্রথম সমন্বিত উদ্যোগ। দুই বছরের মধ্যে দ্বীপটি ভ্রমণকারীদের জন্য প্রস্তুত হয়ে যাবে বলে আশা তার।
পার্কের নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার আগে হ্নীলা জেটিঘাট থেকে নৌকা নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন জালিয়ার দ্বীপ। আর কাছের নেটং পাহাড়ে উপভোগ করতে পারেন প্রাকৃতিক বনের সৌন্দর্য্য। এই বনে হাতি, বন মোরগ, মেছো বোঘ, ময়ূর, বানর অার হরিণ আছে। নেটং পাহাড়ে আছে ঝিরি-ঝরণা। পাহাড়ের চূড়ায় উঠলে দেখতে পাবেন নাফের অপরূপ রূপ আর ভবিষ্যত ভ্রমণ গন্তব্য জালিয়ার দ্বীপ।

কনটেন্ট এডিটর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *