চট্টগ্রাম দেশে ভ্রমণ ভ্রমণ কাহিনী

হ্রদ পাহাড় আর ‘বড়গাং’

আমিনুল ইসলাম মুন্না (ছবি- লেখক) 

দেখে মনে হতে পারে শিল্পীর আঁকা নান্দনিক ছবি। স্থানীয়দের ভাষায় ‘বড়গাং’ যার অর্থ- বড় নদী। এই নদীকে আসলে আমরা চিনি কর্ণফুলী নামেই। কাপ্তাই- রাঙামাটি সংযোগ সড়কে দেখা মিলবে ‘বড়গাং’ এর নৈসর্গিক সৌন্দর্য।

এক পাশে পাহাড় অন্য পাশে হ্রদ। সবুজের মাঝে সাপের মত একে বেঁকে বয়ে গেছে কালো পিচঢালা রাস্তা। সবুজ বৃক্ষে ঢাকা পাহাড় আর নীল জলরাশির হ্রদ, তার মাঝে দ্বীপের মত মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে ছোট ছোট পাহাড়, তাতে বসতি করেছে স্থানীয়রা।

মন ভোলাতে পারে পাহাড়ের এখানে-ওখানে করা পাহাড়িদের মাচাং ঘর। গাড়ি থেকে নেমে হ্রদের পাড়ে দাঁড়ালে বাতাস আপনার কানে কানে বলবে ‘থেকে যাও আরো কিচ্ছুক্ষণ’। পাহাড়ি জনপদে পাহাড় নদীর মিতালিতে এমন সুন্দর জায়গা আর কোথাও চোখে পরবেনা আপনার।

তাই বলা যেথে পারে প্রথম দেখাতে প্রেমে পরে যেতে পারেন এই স্থানের। পুরো রাস্তা জুড়ে গাছের শীতল ছায়া। ভ্রমন পিপাসুদের জন্য রয়েছে পাহাড়িদের নানান পান্থশালা।

ছোটখাটো এসব রেস্টুরেন্টের চারপাশ জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে বেশকিছু বসার স্থান। কাঠের গুড়ি কিংবা বাঁশ দিয়ে তৈরি চেয়ারগুলোতে বসে কাটতে পারেন লম্বা সময়। আড্ডা দেয়া আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য উপভোগের পাশাপাশি ছবি তোলার জন্য উপযুক্ত স্থান এটি।

আরেকটু সামনে রয়েছে পাহাড়ি জুম ঘর। ঘরের সামনের অংশ সাজানো আছে মাটির নানা তৈজসপত্র। নজর কাড়বে সবুজের মাঝে মাথা উচু করে দাঁড়িয়ে থাকা স্বর্ণালী এক বৌদ্ধ মন্দির। আর একটি বৌদ্ধ মন্দির রয়েছে আছে হ্রদের মাঝে । যার বেশি ভাগ অংশ পানির নিচে, বৌদ্ধ ধর্মের নানা নিশান মাথায় বেধে যেন শান্তির বানী ছড়াচ্ছে পাহাড়ে।

রাঙামাটির বড়দাম বাজার এলাকায় রাঙামাটি-কাপ্তাই সংযোগ সড়ক এলাকাতেই আছে  বড়গাং নামের এক রেস্টুরেন্টও।

যাওয়া যায় রাঙামাটি থেকে আসামবস্তি ব্রিজ হয়ে কাপ্তাই যাওয়ার পথে কিংবা কাপ্তাই থেকে রাঙামাটি যাওয়ার পথে এই বড়গাং। অনেকে একে ‘বরাদাম’ও বলে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *