জগন্নাথ জিউ মন্দিরের প্রবেশ পথে অলংকরণে সজ্জিত সুউচ্চ প্রবেশদ্বার। সিংহমূর্তি সম্বলিত এই প্রবেশদ্বারের নিচের দিকে আছে কয়েকটি দেবতার মূর্তি।
প্রবেশদ্বারের দ্বিতীয় তলায় চার ঘোড়ার রথ আর চারটি গম্বুজ। এর উপরে আছে আরও তিনটি গম্বুজ। প্রবেশদ্বারের এই দৃষ্টিনন্দন অলংকরণ আপনার নজর কাড়বে।
ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলা শহরেই শ্রী জগন্নাথ জিউ মন্দির ও শ্রী চৈতন্য গৌড়ীয় মঠ। বাংলাদেশ থেকে আখাউড়া বা রামপড়ের সাব্রুম হয়ে যেতে পারেন আগরতলায়।
ভারতের অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় আগরতলা ছোট হলেও রাজ্যটিতে আছেন অনেক মন্দির।
শহরের কেন্দ্রস্থলে এই মন্দিরটি এখন শুধু ধর্মীয় স্থান নয় বরং পর্যটকদের কাছেও এক বড় আকর্ষণ।
ত্রিপুরার মহারাজা রাধাকিশোর মানিক্য নির্মিত উজ্জয়ন্ত প্রাসাদের অদূরেই জগন্নাথ দেবের এই মন্দির। প্রায় শত বছর আগে মহারাজা রাধাকিশোর মানিক্য এই মন্দিরটি স্থাপন করেন।
মন্দির চত্বরে প্রবেশ করেই দেখতে পাবেন পরিচ্ছন্ন সাজানো ফুলের বাগান ঘেরা এক প্রাঙ্গন। ত্রিপুরার স্থাপত্য শৈলীর অপূর্ব নিদর্শন বুকে ধারণ করে দাঁড়িয়ে আছে মন্দিরটি।
প্রাঙ্গনের একটি অংশে দেখতে পাবেন অজুর্নের বিশ্বরূপ প্রদর্শন। এর নিচেই আছে শ্রীকৃষ্ণের বাল্য লীলা প্রদর্শনী।
মন্দির প্রাঙ্গনের দেয়ালে আছে পাতাল পুরী হতে হনুমানের রাম লক্ষণ আনয়ন, বরাহ অবতার এবং বিষ্ণুবাহন গরুড়সহ অনেক কিছু।
মন্দিরের ভেতরেই আছে একটি পুকুর। অক্ষয় তৃতীয়াতে এই পুকুরে নৌকা ভাসিয়ে হয় চন্দনযাত্রা মহোৎসব। পুকুরের চারপাশে রেলিং এ ঘেরা। পুকুরের সীমানা দেয়ালের প্রতিটি পিলারের উপর স্থাপিত দেব- দেবীর মূর্তি।
শ্রী চৈতন্য গৌড়ীয় মঠ এর আয়োজনে আষাঢ় মাসে অনুষ্ঠিত হয় জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা। আষাঢ়ের শুক্লা দ্বিতীয়া তিথিতে জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা উপলক্ষে বর্ণাঢ্য আয়োজন করা হয় এই মন্দিরে।
রথে চড়ে বলভদ্র, সুভদ্রা দেবী ও প্রভু জগন্নাথ দেব রাজধানী পরিভ্রমণ করেন। সন্ধ্যায় শ্রী মঠের গুন্ডিচা মন্দিরে ফিরে যায় রথ।
এছাড়া বছরের অন্যান্য সময় স্নানযাত্রা ও ঝুলনযাত্রা উপলক্ষে ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
মন্দির প্রাঙ্গনেই আছে অতিথিদের থাকার ব্যবস্থা, ফ্রি চিকিৎসাশালা ও ভোজনশালা। ঘরের পাশে আগরতলায় বেড়াতে গেলে অবশ্যই ঘুরে আসবেন জগন্নাথ জিউ মন্দির। ##
উত্তম সেনগুপ্ত, উত্তর প্রদেশ ঘুরে ভারতের উত্তর প্রদেশ যাওয়ার আগে শুনেছিলাম এটি ছিল নবাবদের রাজ্য। তাই আগ্রহ ছিল কিছু ঐতিহাসিক স্থান দেখার। তারই একটি লক্ষ্ণৌ শহরের বড় ইমামবারা। মোগল সম্রাট আওধের (অযোধ্যা) নবাব উজির মীর্জা আমানি আসাফউদ্দৌলা বাহাদুর লক্ষ্ণৌতে ১৭৮৫ সালে বড় ইমামবারা নির্মাণ শুরু করেন। ১৭৯১ সালে নির্মাণ শেষ হয়। কথিত আছে, ওই নির্মাণকালের […]
ট্র্যাভেলিং চট্টগ্রাম ডেস্ক: চলতি বছরের মার্চে বাংলাদেশ-ভারত পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। রোববার সচিবালয়ে ঢাকায় ভারতের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার আদর্শ সোয়াইকার সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি এ কথা জানান। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, আগামী মার্চে উভয় দেশের মধ্যে পর্যটকবাহী নৌযান চালু হবে। এতে উভয় দেশের পর্যটকরা নৌপথে ভ্রমণ শুরু করবেন। ভারতের সাথে […]
বড় আকারের একটা হাঙ্গর ছুটে আসছে আপনার দিকে। অথবা পাখা মেলে ওড়ার মত করে নীল জলে সাঁতরে চলেছে স্টিং রে ফিস। একটুও ভয় লাগছে না আপনার। ঠাঁই দাঁড়িয়ে তাই দেখছেন আপনি। সাগর তলদেশের অদেখা এই জগতের দেখা মেলে সি অ্যাকুরিয়ামে। সাগরে বড় বড় ছুটে চলে ঢেউয়ের নিচে আছে অন্য এক রঙিন জগত। […]